ব্রংকস পার্কচেষ্টারের আল আকসা চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট টানতে পারছে না ভোজনবিলাসীদের । কাষ্টমারদের রেটিংও সন্তোষজনক নয়। সন্ধ্যার পর প্রতিদিন রেষ্টুরেন্টে হাতেগোনা কয়েকজন কাষ্টমার দেখা গেলেও সারাদিন বিরানভূমি। শুক্র ও শনিবার কিছু
বিস্তারিত...
নিউইয়র্ক পুলিশ লোয়ার ম্যানহাটানের ফুটপাথে বিক্রির সময় নকল গুচি ও লুই ভুইটনের ব্যাগ এবং অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করেছে। এসব পণ্যের দাম প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ডলার হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পুলিশ এই বিক্রির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৮ ব্যক্তিকে আটকও করেছে। জব্দ করা পণ্যের মধ্যে হ্যান্ডব্যাগ ছাড়াও রয়েছে ওয়ালেট, সানগ্লাস, ক্যাপ। এগুলো ক্যানেল স্ট্রিট এবং ব্রডওয়েতে বুধবার সন্ধ্যায় বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছিল। নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের পরিদর্শক উইলিয়াম গ্লান সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে বলেন, কমিউনিটি এবং ব্যবসা মালিকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। তিনি বলেন, আটক পণ্যের পরিসর বিপুল। আমরা এগুলো রাস্তা থেকে সরিয়ে নিচ্ছি।
যুক্তরাষ্ট্রে টানা তৃতীয় বছরের মতো নাগরিকদের আয় কমছে। এর ফলে জীবনযাত্রার মান পড়ে যাচ্ছে। টিকে থাকতে অনেককে একাধিক চাকরি পর্যন্ত করতে হচ্ছে। আর শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো হলেও মুদ্রাস্ফীতি তাদের ওই বাড়তি আয় গিলে ফেলছে। ইউএস সেন্সাস ব্যুরোর নতুন পরিসংখ্যানে এই তথ্য পাওয়া গেছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২২ সালে মুদ্রাস্ফীতি-তাড়িত গড় পারিবারিক আয় কমে হয়েছে ৭৪,৫৮০ ডলার। এটি ২০২১ সালের গড় আয় ৭৬,৩৩০ ডলারের চেয়ে ২.৩ ভাগ কম। এর প্রভাব প্রকটভাবে পড়েছে নিউইয়র্কবাসীর ওপর। তারা বাইরে বের হচ্ছে কম, সস্তার পণ্য ক্রয় করছে, ভাড়া পরিশোধের জন্য ঋণ করছে, এমনকি বাইডেন প্রশাসনের কথিত ‘বাইডেনোমিক্স’ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কানাডায় পালিয়ে যাচ্ছে। আমেরিকান শ্রমিকদের ওপর থেকে আর্থিক বোঝা লাঘব করতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ‘বাইডেনোমিক্স’ ফলপ্রসূ না হওয়ায় ২০১৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গড় পারিবারিক আয় কমে যাচ্ছে। এই কঠিন অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে রেসেস হাইড (৩৪) দুটি চাকরি করছেন বলে জানিয়েছেন। অনেকে তো রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার আগে অস্বস্তি এড়াতে অনলাইনেই মেনু দেখে নিচ্ছেন। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মুদ্রাস্ফীতির আলোকে হাই স্কুল ডিপ্লোমাধারীদের (যারা কলেজ ডিগ্রি নেননি) আয় ৫.৩ ভাগ কমে গেছে। আর বাড়তি ডিগ্রিধারীদের আয় কমেছে ৪.৯ ভাগ। ব্রুকলিনের সেলেন স্টিভেন্স (৬২) জানিয়েছেন, তিন বছ ধরে তার আয় বাড়েনি। তিনি এখন ভাড়া মেটাতে তাদের স্বজনদের সহায়তা কামনা করছেন। তিনি একটি ফুড ব্যাংক থেকে মুদি সামগ্রী নেবেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি এই আর্থিক সমস্যার জন্য বাইডেন প্রশাসনকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, অর্থনীতির দিকে বাইডেন তেমন নজর দিচ্ছেন না। নিউইয়র্কের আরেক বাসিন্দা ৩২ বছর বয়স্কা ইদ্রাজা মনে করছেন, তার বেস পে ২০ হাজার ডলার বেড়ে এক লাখ ৩১ হাজার ডলার হলেও তিনি এখন ‘আগের চেয়ে গরিব’ মনে করেন। কারণ, মুদ্রাস্ফীতি তার বাড়তি আয় গিলে ফেলছে। তিনি বলেন, ছয় অঙ্কের আয়ও এখন খুবই কম মনে হচ্ছে। ট্যাক্স আর ভাড়া দেওয়ার পর বলতে গেলে কিছুই থাকে না। আর পেত্রা হ্যানসন, ৫৫, জানিয়েছেন, তিন বছর ধরে তিনি তার সঞ্চয় খেয়ে টিকে আছেন। অর্থনীতিবিদেরা যতটুকু অনুমান করেছিলেন, মুদ্রাস্ফীতি তার চেয়ে বেশি হয়ে পড়েছে। গত বছরের আগস্ট থেকে এবারের আগস্টে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ৩.৭ ভাগ। টানা তিন বছর ধরে খাবারের দাম ০.২ ভাগ বেড়েছে। আগস্টে গোশত, পোল্ট্রি, মাছ ও ডিমের দাম বেড়েছে ০.৮ ভাগ। এর ফলে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতি ক্ষুব্ধ হচ্ছে নাগরিকেরা। হাইড তো বলেই ফেললেন,
নিউইয়র্কে আবার কোভিড-১৯ হানা দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে করোনাভাইরাসের নতুন টিকাটি গ্রহণ করার জন্য নিউইয়র্কবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গভর্নর ক্যাথি হোকুল। গভর্নর ছয় মাস বা তার বেশি বয়সী সবাইকে শীতের আগেই নতুন টিকা গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। গভর্নর জোর দিয়ে বলেন যে নতুন ধরণটির সাথে মিল রেখেই নতুন টিকা উদ্ভাবন করা হয়েছে। সিডিসি জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন যে ধরণটি ছড়িয়ে পড়ছে, তার ৯০ ভাগের বেশিই এই টিকায় প্রতিরোধযোগ্য। গভর্নর এক ব্রিফিংয়ে বলেন, অতীতে টিকা গ্রহণ করায় আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে আগের টিকায় এখন সুরক্ষা পাওয়া যাবে না। এখন নতুন করে টিকা নিতে হবে। নিজেকে এবং আশপাশের সবাইকে সুরক্ষিত করার এটাই সর্বোত্তম পন্থা। তিনি বলেন, ‘আমরা ২০২০ সাল থেকে এ কাজ করছি। এখন থেমে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। আর আপনি কেবল নিজেকে নিয়ে ভাববেন না। কারণ অনেক লোক আক্রান্ত হয়েছে।’
জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক আসছেন। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশ বিমানে চার্টার্ড ফ্লাইটে এদিন ১০টা ৫৩ মিনিটে জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী অন্য বছরের তুলনায় কম। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকতে পারেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, ডিপিএসসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। অন্যবারের মতো এবার প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল আসছে না। তবে ব্যক্তিগত অর্থে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী আসতে পারেন।